তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত, হাদিস ও নিয়ম

তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত

আল্লাহ তা'আলার নৈকট্য অর্জন করার জন্য রাতে যে নফল নামাজ আদায় করা হয়, তাকে তাহাজ্জুদের নামাজ বলে। তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত অনেক, মর্যাদা ও ফজিলতের দিক থেকে ফরজ নামাজের পর তাহাজ্জুদ নামজের স্থান।

তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত ও গুরুত্ব আল্লাহ তা'আলা কোরআনে বর্ণনা করেছেন। রাতের শেষ অংশে আল্লাহ তা'আলা পৃথিবীর আসমানে নেমে আসেন এবং মানুষের নামাজ, আল্লাহ তা'আলা কে ডাকা ও ক্ষমা চাওয়ার জন্য আহ্বান করেন।

রমজান মাসে তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত অনেক, এই মাস সকল মাসের থেকে উত্তম, আর এই মাসে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করলে অনেক ফজিলত পাওয়া যাবে।

তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত হাদিস অনেক রয়েছে, যেমন বুখারি শরীফের একটি হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা:) বলেন, প্রতি রাতের শেষ অংশে আল্লাহ তা'আলা দুনিয়ার আসমানে নেমে আসেন এবং তিনি বলেন, এখন যে আমাকে ডাকবে, যে আমার কাছে প্রার্থনা করবে এবং যে আমার কাছে ক্ষমা চাইবে, সেই ব্যক্তির ডাকে আমি সাড়া দিবো, তার প্রার্থনা পূর্ণ করবে এবং তাকে ক্ষমা করে দিবো।

তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত সম্পর্কে কোরআনের আয়াত এসেছে, সুরা মুজ্জাম্মিল, আয়াত নাম্বার ৬ :

اِنَّ نَاشِئَۃَ الَّیۡلِ هِیَ اَشَدُّ وَطۡاً وَّ اَقۡوَمُ قِیۡلًا


অর্থ : নিশ্চয়ই রাতের বেলার জেগে ওঠা আত্মসংযমের জন্য বেশি কার্যকর এবং স্পষ্ট কথা বলার জন্য বেশি উপযোগী।

তাহাজ্জুদ পড়ার সময় হলো রাতের শেষ অংশে। এই নামাজ এশার নামাজ আদায় করার পর থেকে ফজরের সময় হওয়ার আগে পর্যন্ত আদায় করা যায়। তবে তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করার উত্তম সময় হলো শেষ রাতে বা রাতের শেষ অংশে।

তাহাজ্জুদের নামাজ কত রাকাত? এই বিষয়টি নিয়ে ইসলামিক স্কলারদের মধ্যে কিছু মতপার্থক্য আছে। তবে প্রায় সকল স্কলারের মত হলো তাহাজ্জুদের নামাজ সর্বনিম্ন ২ রাকাত এবং সর্বোচ্চ ৮ রাকাত আদায় করতে হবে। তবে কেউ ৮ রাকাতের বেশি এই নামাজ আদায় করতে পারবেন। রাসুল (সা:) এই নামাজ ২,৪,৮ ও ১২ রাকাত আদায় করতেন। যদি এসার নামাজেরqaW পর থেকে শেষ রাতের মধ্যে কেউ ২ রাকাত নামাজ আদায় করে তাহলে সেই নামাজ তাহাজ্জুদের নামাজ হিসেবে গণ্য হবে। হজরত ইবনে আব্বাস (রা:) বলেছেন, কোনো ব্যক্তি যদি এশার নামাজের পর দুই বা তার বেশি রাকাত নামাজ আদায় করে, তাহলে সেই ব্যক্তি তাহাজ্জুদের ফজিলতের অধিকারী হবে।

তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার নিয়ম এর মধ্যে নির্দিষ্ট কোনো নিয়ম বা সূরা নেই, অন্য নামাজের মতো এই নামাজ আদায় করতে হয়। প্রথমে সূরা ফাতেহা ও এর সাথে মিলিয়ে একটি সূরা পাঠ করলেই হবে। এ ক্ষেত্রে বড় কোনো সূরা পাঠ করা উত্তম। রাসুল (সা:) তাহাজ্জুদের নামাজ বড় কোনো সূরা পাঠ করে আদায় করতেন।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url