বেতের নামাজের নিয়ম ও সূরা

বেতের নামাজের নিয়ম ও সূরা

বিতর হলো আরবি শব্দ। বেতর শব্দের অর্থ হলো বিজোড়। বেতের নামাজ হলো ৩ রাকাত। তবে অনেকে বেতের নামাজ ১ রাকাত আদায় করে থাকে। এশার নামাজের পর বেতের নামাজ আদায় করতে হবে। বেতের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বেতের নামাজ রমজান মাসে তারাবির নামাজ আদায় করতে হয়। রমজান মাসে বেতর নামাজ জামাতে আদায় করা হয়।


বেতের নামাজের গুরুত্ব অনেক বেশি। আবু দাউদ শরীফের একটি হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা:) বেতের নামাজ আদায় করা আবশ্যক বলেছেন। তিনি আরো বলেন, যে ব্যক্তি বেতের নামাজ আদায় করবে না, সেই ব্যক্তির সাথে জামাতে আমার কোনো সম্পর্কো নেই।

বেতের নামাজের সূরা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়নি। কোনো নামাজে সূরা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়নি। তবে রাসুল (সা:) বেশিরভাগ সময়ে বেতের নামাজে ১ম রাকাতে সূরা আলা, ২য় রাকাতে সূরা কাফিরুন এবং ৩য় রাকাতে সূরা ইখলাস পাঠ করে আদায় করতেন।

বেতের নামাজের নিয়ম

প্রথমে তাকবিরে তাহরিমা "আল্লাহু আকবার" বলে বেতের নামাজের নিয়ত বাঁধতে হবে।
এরপর ছানা পঠ করতে হবে।
এবার সূরা ফাতেহা পাঠ করতে হবে।
সূরা মিলানো মানে যে কোনো একটি সূরা পাঠ করতে হবে।
এরপর রুকু ও সেজদা করতে হবে।
এভাবেই দ্বিতীয় রাকাআত নামাজ আদায় করে তাশাহহুদ, দরূদ ও দোয়া মাছুরা পাঠ করতে হবে।
এবার ৩য় রাকাতে সূরা ফাতেহা পাঠ করতে হবে।
এরপর সূরা মিলানো মানে যে কোনো একটি সূরা পাঠ করতে হবে।
এবার সূরা মিলানো শেষ করে তাকবির বলে ২ হাত কান পর্যন্ত উঠিয়ে আবার তাকবিরে তাহরিমার মতো হাত বাঁধতে হবে।
তারপর নিঃশব্দে দোয়া কুনুত পাঠ করতে হবে।
এরপর রুকু ও সেজদা করতে হবে।
এখন তাশাহহুদ, দরূদ ও দোয়া মাছুরা পাঠ করতে সালাম ফিরিয়ে বেতের নামাজ শেষ করতে হবে।

বেতের নামাজের সতর্কতা

যদি বেতের মামাজে ৩য় রাকাআতে দোয়া কুনুত পাঠ করতে মনে না থাকে, তাহলে শেষ বৈঠকে তাশাহহুদ পাঠ করে সাহু সিজদা করলেই চলবে।
যদি বেতের নামাজে ভুল করে ১ম বা ২য় রাকাআতে দোয়া কুনুত পাঠ করে ফেলে, তাহলে সাহু সিজদা দিতে হবে।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url