হায়েজ অবস্থায় আমল - হায়েজ অবস্থায় কুরআন, দরুদ, হাদিস পড়া যাবে কি

হায়েজ অবস্থায় আমল

হায়েজ অবস্থায় অনেক গুলো আমল করা যায়, তবে সব আমল করা যাবে না। এই আর্টিকেলে আমরা শিখবো হায়েজ অবস্থায় কোন কোন আমল করা যাবে এবং কোন কোন আমল গুলো করা যাবে না।


হায়েজ অবস্থায় আমল


হায়েজ অবস্থায় সকল আমল করা যাবে না। হায়েজ অবস্থায় নিম্নে দেওয়া আমল গুলো করা যাবে। যেমন-
১. বেশি বেশি যিকির করা।
২. বেশি বেশি ইস্তেগফার করা।
৩. জান্নাত ও জাহান্নাম নিয়ে গভীর চিন্তা করা।
৪. বেশি বেশি দরুদ পাঠ করা।
৫. আল্লাহ তা'আলার কাছে দোয়া করা।
৬. আল্লাহ তা'আলার কাছে ক্ষমা চাওয়া।

হায়েজ অবস্থায় কুরআন পড়ার বিধান


হায়েজ অবস্থায় কুরআন পড়া যাবে কিনা ইসলামে এই বিধান নিয়ে বলতে গেলে, কুরআন মুখস্ত পড়া যাবে কিন্তু স্পর্স করা যাবে না। হায়েজ অবস্থায় মুখস্ত কুরআন পড়া যাবে কি এই নিয়ে বলতে গেলে আগে ২ টি হাদিস আেনাদের পড়তে হবে। হাদিস ২ টি নিম্নে দেওয়া হলো-

১. হায়েজ অবস্থায় মুখস্ত কুরআন পড়া যাবে না এই সম্পর্কে হাদিস

তিরমিযী শরীফের ১৩১ নং হাদিসে দেওয়া আছে, "হায়েযওয়ালী নারী ও নাপাক ব্যক্তি (হায়েয ও নাপাক অবস্থায়) কুরআন থেকে কিছুই পড়বে না।"

এই হাদীসটি দুর্বল। আর দুর্বল হাদীস দ্বারা দলীল দেওয়া যায় না।

২. হায়েজ অবস্থায় মুখস্ত কুরআন পড়া যাবে এই সম্পর্কে হাদিস

বুখারী শরীফের ৩০৫ নং হাদিসে দেওয়া আছে, "আয়েশা (রা:) এর একটি হাদীস। রাসূলুল্লাহ (সা:) এর সাথে হজ্জ পালন করার সময় মা আয়েশা (রা:) এর হায়েয শুরু হয়ে গেল এবং এতে তিনি কাঁদতে লাগলেন। অতঃপর নবী (সা:) তাঁকে বললেন, "হাজীরা যা যা করে তা সবই তুমি করে যাও, পবিত্র হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত শুধু কাবাঘর তাওয়াফ করো না।"

কুরআন তিলাওয়াত হজ্জের একটি উত্তম কাজ। এটাকে রাসুল (সা:) নিষেধ করেননি, তাই এটা বৈধতার প্রমাণ করে যে হায়েজ অবস্থায় মুখস্ত কুরআন পাঠ করা যাবে।

হায়েজ অবস্থায় মোবাইলে কুরআন পড়া যাবে কি


যেহেতু হায়েজ অবস্থায় মুখস্ত কুরআন পড়া যাবে, সেহেতু হায়েজ অবস্থায় মোবাইলে কুরআন পড়া যাবে। এর ব্যাখ্যা বুখারী শরীফের ৩০৫ নং হাদিসে দেওয়া আছে। এই হাদিসটি উপরে দেওয়া আছে।

হায়েজ অবস্থায় কুরআন শোনা যাবে কিনা


যেহেতু হায়েজ অবস্থায় মুখস্ত কুরআন পড়া যাবে, সেহেতু হায়েজ অবস্থায় কুরআন শোনা যাবে। এর ব্যাখ্যা বুখারী শরীফের ৩০৫ নং হাদিসে দেওয়া আছে। এই হাদিসটি উপরে দেওয়া আছে।

হায়েজ অবস্থায় আয়াতুল কুরসি পড়া যাবে


হায়েজ অবস্থায় আয়াতুল কুরসি মুখস্ত বা মোবাইল দেখে পড়া যাবে। তবে হায়েজ অবস্থায় আয়াতুল কুরসি পুস্তক হাতে নিয়ে পাঠ করা যাবে না। যেহেতু হায়েজ অবস্থায় মুখস্ত কুরআন পড়া যাবে, সেহেতু আয়াতুল কুরসি মুখস্ত পড়া যাবে। এর ব্যাখ্যা বুখারী শরীফের ৩০৫ নং হাদিসে দেওয়া আছে।

হায়েজ অবস্থায় দরুদ পড়া যাবে কি


হায়েজ অবস্থায় দরুদ মুখস্ত বা মোবাইল দেখে পড়া যাবে। তবে হায়েজ অবস্থায় দরুদ পুস্তক হাতে নিয়ে পাঠ করা যাবে না। যেহেতু হায়েজ অবস্থায় মুখস্ত কুরআন পড়া যাবে, সেহেতু দরুদ মুখস্ত পড়া যাবে। এর ব্যাখ্যা বুখারী শরীফের ৩০৫ নং হাদিসে দেওয়া আছে।

হায়েজ অবস্থায় হাদিস পড়া যাবে কি


হায়েজ অবস্থায় হাদিস পড়া যাবে কি না এই প্রশ্নের উত্তর আমি প্রমান সহ খুজে পায়নি। তবে মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি বাইতুল কুরআন মাদারাসা , মোহাম্মাদপুর তিনি বলেছেন হায়েজ অবস্থায় হাদিস পড়া যাবে।

শেষ কথা


আমাদের এই educationbangla.info ওয়েব সাইটে আরবি, বাংলা উচ্চারণ ও বাংলা অর্থ সহ সকল দোয়া, হাদিস, আমল, জিকির, তাসবিহ, নিয়ত ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আপনারা আমাদের ওয়েব সাইট ঘুরে সকল কিছু দেখতে পারেন।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url